রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ কী?
রিয়েল এস্টেট বলতে বুঝায় ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট,কমার্শিয়াল স্পেস, জমি, ভবন অথবা যেকোনো ধরনের স্থায়ী সম্পত্তি। আর রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ হলো এই সম্পত্তি কেনা, ধরে রাখা বা ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করা। পৃথিবীর যেকোনো দেশে রিয়েল এস্টেট সবসময়ই দীর্ঘমেয়াদি এবং তুলনামূলক নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।
কেন মানুষ ফ্ল্যাট কেনাকে সেরা বিনিয়োগ মনে করে?


- স্থায়ী সম্পদ
ফ্ল্যাট একটি স্থায়ী সম্পত্তি, যেটি সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় না। অর্থাৎ অন্য ব্যবসার মতো ক্ষতির ভয় কম থাকে। জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকানার প্রমাণপত্র থাকলে এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে হস্তান্তর করা যায়। - মূল্য বৃদ্ধি
বাংলাদেশের নগরায়ণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে জায়গার চাহিদা সবসময় বেশি। আজ যে দামে ফ্ল্যাট কিনছেন, কয়েক বছর পর সেটির দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে ফ্ল্যাট কেনা মানেই সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি। - ভাড়ার ইনকাম
ফ্ল্যাট শুধু বসবাসের জন্য নয়, ভাড়া দিয়ে মাসিক আয়েরও উৎস। অনেক বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। এতে প্যাসিভ ইনকাম তৈরি হয় এবং মূলধন দ্রুত ফিরে আসে। - নিরাপদ বিনিয়োগ
শেয়ার বাজার বা অন্য ব্যবসার মতো ওঠানামা রিয়েল এস্টেটে তুলনামূলকভাবে কম। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট সবসময়ই নিরাপদ বিকল্প। - সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা
নিজস্ব ফ্ল্যাট থাকা মানে শুধু আর্থিক নিরাপত্তা নয় বরং সামাজিক মর্যাদারও প্রতীক। তাই অনেকেই অন্য বিনিয়োগের চেয়ে ফ্ল্যাট কেনাকে অগ্রাধিকার দেন।
ফ্ল্যাট বনাম অন্য বিনিয়োগ

ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ পাওয়া যায়, শেয়ারে বিনিয়োগ করলে দ্রুত লাভ বা ক্ষতি হতে পারে কিন্তু ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ হলো এমন একটি বিনিয়োগ, যেখানে সম্পদের মূল্য সময়ের সাথে সাথে শুধু বাড়তেই থাকে। উপরন্তু এটি থেকে ভাড়ার মাধ্যমে আয়ও হয়।
উপসংহার

বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ মানেই দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা, সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি এবং আর্থিক স্বাধীনতা। তাই মানুষ ফ্ল্যাট কেনাকে শুধু একটি আবাসনের সমাধান নয় বরং জীবনের সেরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।
